নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ: পৌষের শুরুতে নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শুধু কনকনে শীতই নয়, কুয়াশার চাঁদরও সূর্যের আলোকে প্রলম্বিত করছে গত দুইদিন ধরে। বিকাল পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলেনি। দু’য়েক বার উঁিক দিলেও তাপ ছিল খুবই কম। নগরী ও আশপাশে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে বেড়েছে শীত, বেড়েছে বাতাসের আর্দ্রতাও। আবহাওয়া অফিস বলছে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে তিন থেকে চার ডিগ্রি। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বইতে শুরু করেছে শীতল বাতাস। বুধবার সকাল থেকে কুয়াশা লক্ষ্য করা গেছে। যা ছিল দুপুর পর্যন্ত।
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা সকালে ৯৪ শতাংশ ও সন্ধ্যায় ৮৯ শতাংশ।
হঠাৎ শীতের কারণে খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে বিপাকে। তবুও জীবিকার তাগিদে ছুটে চলতে হচ্ছে তাদের। নগরীর বিনোদপুর বাজার এলাকায় কথা হয় সোহল রানা নামের এক রিক্সা চালকের সঙ্গে। তিনি বরেন, বিকেলে থেকে হঠাৎ বাতাস আর শীত নামছে। তাই অনকে কষ্ট হচ্ছে রিক্সা চালাতে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বিকেলে থেকে তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে বাতাসের কারণে। সোমবারের তুলনায় তাপমাত্রা কমেছে দুই ডিগ্রি। এভাবে তামপাত্রা কমতে থাকলে শৈত্য প্রবাহ আরো বাড়বে। শীত ইতিমধ্যে বেশ জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে। দিনের তুলনায় কমছে রাতের তাপমাত্রা। এছাড়া ঘন কুয়াশাও পড়তে শুরু করেছে। নগরীতে ভোরে প্রাত:ভ্রমনে বেড়োনো কয়েকজন জানান, ভোরে ঘনকুয়াশার কারণে বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে। অল্প দূরত্বে থাকা যানবাহনও চোখে পড়েনি।